File images
This 13 number is the best for me ... The most beloved man in my life was born 13th day ... the date of our wedding day was also 13 ... but suddenly, Humayun thought he would marry a day earlier ... Dec 12, 2012 Dated (12/12/12) will celebrate with pompousness (13th anniversary annually, maybe 13/13/13, he thought of celebrating ...)
It seems to me that many stories go on, in exchange for this, I mean December 12 our wedding date ... hmm ...
It was just a matter of my marriage ... I thought that some kind of a sari was to be spoken three times and a sign of blue paper ...
Humayun's friends are next to him, and his mother is ... the mother of the publisher Mazharul Islam (the beloved girlfriend of my mother-in-law), when she went to ask for our blessings and told us about her marriage, she said clearly to her grandfather's wit and foresight He has full confidence ... When the eldest son decided to get married, he must have taken his own good understanding ... The decision will always be his best wishes ...
Someone in my family is not with me .. even if no friend ... everyone has left me.
On December 11, Humayun sent me to New Market ... Purpose one bought a yellow sari, that in the evening I read a yellow sari and said a little yellow on my body ... ... "You must surely have married, there were many dreams about yellowing ... I am not completely satisfied because of my marriage ... I am very ashamed ... yet I want you to wear yellow saris and decorate it with flowers ... for yourself, your future child For me, for me ... we'll twist today with the two ... "
I bought sarees alone ... I bought a mango flower necklace ... I think I bought a red panjabi ...
In the evening I got myself in the bathroom ... I saw my eyes in the bathroom mirrors, water came out of my eyes ... I woke my eyes and threw the necklace in the ear. Suddenly, I heard the door opened in the bathroom door ... I saw the door, Bhabi, next 3 year old little boyfriend ... a little reddish pajajee, Humayun licked the lips ... more friends of Humayun and their wives entered the house ... They pulled me by my hand in the next room ...
A small side of four or five lamps arranged ... there is a glittery nifty of yellow flowers ..! Writer Moinul Ahsan Sabe's brother Kia Bhabi, and the wife of Mazhar bhai, Shaniar Bhabishi Me and Humayun's hand, 'Rakhi' also taught ... that khusanati ..! That's all ..! She gave mehedi on the other hand, on the other side of the yellow ... Another fame Namira Sagar's daughter ... Me and Humayun's two cheeks are raw yellow ...
Oh ... that night of 2004 ... Oh that night of 2017 ...
Today on 12th December ... On this day of 2004, Kusum and Humayun started their new life ... Kusum passed the best 13 years of his life ... Best wishes to Kusum ... Regards Humayun of Kusum ...
এই ১৩ সংখ্যাটাই আমার জন্য সবচেয়ে শুভ... আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটির জন্ম ১৩ তারিখ... আমাদের বিয়ের দিন তারিখও ১৩ হবার কথা ছিল... কিন্তু হঠাৎ করেই হুমায়ূন ভাবলেন একদিন আগেই বিয়ে করবেন... ঠিক করলেন ২০১২ সালের ডিসেম্বরের ১২ তারিখ (১২/১২/১২) ধুমধাম করে উদযাপন করবেন (বছরে ১৩তম মাস থাকলে হয়তো ১৩/১৩/১৩ উদযাপনের কথা ভাবতেন তিনি)...
এতোক্ষণে নিশ্চয় বোঝা যাচ্ছে যে নানান গল্প ফেঁদে, ইনিয়ে বিনিয়ে আমি বলতে চাচ্ছি ডিসেম্বর ১২ আমাদের বিবাহের তারিখ... হুম তাই...
খুব সাদামাটাভাবেই হওয়ার কথা ছিল আমার বিয়েটা... ভেবেছিলাম কোনরকম একটা শাড়ি পড়ে তিন বার কবুল বলা আর একটা নীল রঙের কাগজে কয়েকটা সাইন...
হুমায়ূন এর বন্ধুরা আছেন তাঁর পাশে.., আর আছেন তাঁর মা... প্রকাশক মাজহারুল ইসলামের মা (আমার শাশুড়ী মা’র প্রিয় বান্ধবী) যখন তাঁর কাছে বিয়ের খবর জানিয়ে আমাদের জন্য দোয়া চাইতে গেলেন তখন তিনি স্পষ্টভাবে বললেন তাঁর বড়পুত্রের বুদ্ধি এবং দূরদর্শিতার প্রতি তাঁর পূর্ণ আস্থা আছে... বড়পুত্র যখন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখন নিশ্চয়ই নিজের ভালো বুঝেশুনেই নিয়েছে... নিজে উপস্থিত না হলেও প্রিয়পুত্রের সিদ্ধান্তের প্রতি তাঁর শুভকামনা সবসময়ই থাকবে...
আমার পরিবারের কেউ আমার সাথে নেই.., এমনকি নেই কোনও বন্ধুও... সবাই ত্যাগ করেছে আমাকে...
ডিসেম্বরের ১১ তারিখ হুমায়ূন আমাকে জোড় করে পাঠালেন নিউমার্কেটে... উদ্দেশ্য একখানা হলুদ শাড়ি কিনে আনা, যেন সন্ধ্যায় আমি হলুদ শাড়ি পড়ে নিজের গায়ে একটু হলুদ মাখি... বললেন- “তোমার নিশ্চয়ই বিয়ে নিয়ে, গায়ে হলুদ নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল... আমাকে বিয়ে করার কারনে কোনোটাই পূরণ হচ্ছে না... আমি খুবই লজ্জিত... তারপরও আমি চাই আজ সন্ধ্যায় তুমি হলুদ শাড়ি পড়ে ফুল দিয়ে সাজবে... নিজের জন্য.., তোমার ভবিষ্যত সন্তানের জন্য.., আমার জন্য... আমরা দু’জনে মিলে আজ গায়ে হলুদ করবো...”
আমি একা একা শাড়ি কিনলাম... গাঁদা ফুলের মালা কিনলাম... কি মনে করে একটা লাল পান্জাবীও কিনে ফেললাম...
সন্ধ্যায় নিজে নিজে সাজলাম... বাথরুমের আয়নায় নিজেকে দেখে আমার চোখ ফেটে পানি চলে আসলো... চোখ মুছে খোঁপায় কানে গাঁদাফুলের মালা গুঁজলাম... হঠাৎ শুনি বাথরুমের দরজায় ধুমধাম শব্দ... দরজা খুলে বেরিয়ে দেখি ডালা কুলো হাতে মাজহার ভাইয়ের স্ত্রী স্বর্ণা ভাবী, পাশে ৩ বছরের ছোট্ট অমিয়... একটু দূরে লাল পান্জাবী পড়া হুমায়ূন ঠোঁট টিপে হাসছেন... হই হই করে ঘরে ঢুকলো হুমায়ূনের আরো বন্ধু আর তাদের স্ত্রীরা... তারা আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল পাশের রুমে...
চার-পাঁচটা প্রদীপ দিয়ে সাজানো ছোট্ট একটি পাশ... সেখানে হলুদের কি স্নিগ্ধ ছিমছাম আয়োজন..! লেখক মইনুল আহসান সাবের ভাইয়ের স্ত্রী কেয়া ভাবী আর মাজহার ভাইয়ের স্ত্রী স্বর্ণা ভাবী আমার আর হুমায়ূনের হাতে ‘রাখি’ও পড়িয়ে দিলো... সেকি খুনসুটি..! সে-কি আল্লাদ..! সে এক অন্যরকম গায়ে হলুদ... আরেক ভাবী নামিরা স-ব মেয়েদের হাতে মেহেদী দিয়ে দিলো... আমার আর হুমায়ূনের দুই গাল কাঁচা হলুদে রাঙা...
আহা... ২০০৪ সালের সেই রাত... আহা ২০১৭ সালের এই রাত...
আজ ১২ ডিসেম্বর... ২০০৪ এর এই দিনে কুসুম আর হুমায়ূন নতুন জীবন শুরু করেছিলো... কুসুম তার জীবনের সবচাইতে শুভ ১৩ বছর পার করে ফেলল... কুসুমকে শুভেচ্ছা... কুসুমের হুমায়ূনকে শুভেচ্ছা...
This 13 number is the best for me ... The most beloved man in my life was born 13th day ... the date of our wedding day was also 13 ... but suddenly, Humayun thought he would marry a day earlier ... Dec 12, 2012 Dated (12/12/12) will celebrate with pompousness (13th anniversary annually, maybe 13/13/13, he thought of celebrating ...)
It seems to me that many stories go on, in exchange for this, I mean December 12 our wedding date ... hmm ...
It was just a matter of my marriage ... I thought that some kind of a sari was to be spoken three times and a sign of blue paper ...
Humayun's friends are next to him, and his mother is ... the mother of the publisher Mazharul Islam (the beloved girlfriend of my mother-in-law), when she went to ask for our blessings and told us about her marriage, she said clearly to her grandfather's wit and foresight He has full confidence ... When the eldest son decided to get married, he must have taken his own good understanding ... The decision will always be his best wishes ...
Someone in my family is not with me .. even if no friend ... everyone has left me.
On December 11, Humayun sent me to New Market ... Purpose one bought a yellow sari, that in the evening I read a yellow sari and said a little yellow on my body ... ... "You must surely have married, there were many dreams about yellowing ... I am not completely satisfied because of my marriage ... I am very ashamed ... yet I want you to wear yellow saris and decorate it with flowers ... for yourself, your future child For me, for me ... we'll twist today with the two ... "
I bought sarees alone ... I bought a mango flower necklace ... I think I bought a red panjabi ...
In the evening I got myself in the bathroom ... I saw my eyes in the bathroom mirrors, water came out of my eyes ... I woke my eyes and threw the necklace in the ear. Suddenly, I heard the door opened in the bathroom door ... I saw the door, Bhabi, next 3 year old little boyfriend ... a little reddish pajajee, Humayun licked the lips ... more friends of Humayun and their wives entered the house ... They pulled me by my hand in the next room ...
A small side of four or five lamps arranged ... there is a glittery nifty of yellow flowers ..! Writer Moinul Ahsan Sabe's brother Kia Bhabi, and the wife of Mazhar bhai, Shaniar Bhabishi Me and Humayun's hand, 'Rakhi' also taught ... that khusanati ..! That's all ..! She gave mehedi on the other hand, on the other side of the yellow ... Another fame Namira Sagar's daughter ... Me and Humayun's two cheeks are raw yellow ...
Oh ... that night of 2004 ... Oh that night of 2017 ...
Today on 12th December ... On this day of 2004, Kusum and Humayun started their new life ... Kusum passed the best 13 years of his life ... Best wishes to Kusum ... Regards Humayun of Kusum ...
এই ১৩ সংখ্যাটাই আমার জন্য সবচেয়ে শুভ... আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটির জন্ম ১৩ তারিখ... আমাদের বিয়ের দিন তারিখও ১৩ হবার কথা ছিল... কিন্তু হঠাৎ করেই হুমায়ূন ভাবলেন একদিন আগেই বিয়ে করবেন... ঠিক করলেন ২০১২ সালের ডিসেম্বরের ১২ তারিখ (১২/১২/১২) ধুমধাম করে উদযাপন করবেন (বছরে ১৩তম মাস থাকলে হয়তো ১৩/১৩/১৩ উদযাপনের কথা ভাবতেন তিনি)...
এতোক্ষণে নিশ্চয় বোঝা যাচ্ছে যে নানান গল্প ফেঁদে, ইনিয়ে বিনিয়ে আমি বলতে চাচ্ছি ডিসেম্বর ১২ আমাদের বিবাহের তারিখ... হুম তাই...
খুব সাদামাটাভাবেই হওয়ার কথা ছিল আমার বিয়েটা... ভেবেছিলাম কোনরকম একটা শাড়ি পড়ে তিন বার কবুল বলা আর একটা নীল রঙের কাগজে কয়েকটা সাইন...
হুমায়ূন এর বন্ধুরা আছেন তাঁর পাশে.., আর আছেন তাঁর মা... প্রকাশক মাজহারুল ইসলামের মা (আমার শাশুড়ী মা’র প্রিয় বান্ধবী) যখন তাঁর কাছে বিয়ের খবর জানিয়ে আমাদের জন্য দোয়া চাইতে গেলেন তখন তিনি স্পষ্টভাবে বললেন তাঁর বড়পুত্রের বুদ্ধি এবং দূরদর্শিতার প্রতি তাঁর পূর্ণ আস্থা আছে... বড়পুত্র যখন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখন নিশ্চয়ই নিজের ভালো বুঝেশুনেই নিয়েছে... নিজে উপস্থিত না হলেও প্রিয়পুত্রের সিদ্ধান্তের প্রতি তাঁর শুভকামনা সবসময়ই থাকবে...
আমার পরিবারের কেউ আমার সাথে নেই.., এমনকি নেই কোনও বন্ধুও... সবাই ত্যাগ করেছে আমাকে...
ডিসেম্বরের ১১ তারিখ হুমায়ূন আমাকে জোড় করে পাঠালেন নিউমার্কেটে... উদ্দেশ্য একখানা হলুদ শাড়ি কিনে আনা, যেন সন্ধ্যায় আমি হলুদ শাড়ি পড়ে নিজের গায়ে একটু হলুদ মাখি... বললেন- “তোমার নিশ্চয়ই বিয়ে নিয়ে, গায়ে হলুদ নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল... আমাকে বিয়ে করার কারনে কোনোটাই পূরণ হচ্ছে না... আমি খুবই লজ্জিত... তারপরও আমি চাই আজ সন্ধ্যায় তুমি হলুদ শাড়ি পড়ে ফুল দিয়ে সাজবে... নিজের জন্য.., তোমার ভবিষ্যত সন্তানের জন্য.., আমার জন্য... আমরা দু’জনে মিলে আজ গায়ে হলুদ করবো...”
আমি একা একা শাড়ি কিনলাম... গাঁদা ফুলের মালা কিনলাম... কি মনে করে একটা লাল পান্জাবীও কিনে ফেললাম...
সন্ধ্যায় নিজে নিজে সাজলাম... বাথরুমের আয়নায় নিজেকে দেখে আমার চোখ ফেটে পানি চলে আসলো... চোখ মুছে খোঁপায় কানে গাঁদাফুলের মালা গুঁজলাম... হঠাৎ শুনি বাথরুমের দরজায় ধুমধাম শব্দ... দরজা খুলে বেরিয়ে দেখি ডালা কুলো হাতে মাজহার ভাইয়ের স্ত্রী স্বর্ণা ভাবী, পাশে ৩ বছরের ছোট্ট অমিয়... একটু দূরে লাল পান্জাবী পড়া হুমায়ূন ঠোঁট টিপে হাসছেন... হই হই করে ঘরে ঢুকলো হুমায়ূনের আরো বন্ধু আর তাদের স্ত্রীরা... তারা আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল পাশের রুমে...
চার-পাঁচটা প্রদীপ দিয়ে সাজানো ছোট্ট একটি পাশ... সেখানে হলুদের কি স্নিগ্ধ ছিমছাম আয়োজন..! লেখক মইনুল আহসান সাবের ভাইয়ের স্ত্রী কেয়া ভাবী আর মাজহার ভাইয়ের স্ত্রী স্বর্ণা ভাবী আমার আর হুমায়ূনের হাতে ‘রাখি’ও পড়িয়ে দিলো... সেকি খুনসুটি..! সে-কি আল্লাদ..! সে এক অন্যরকম গায়ে হলুদ... আরেক ভাবী নামিরা স-ব মেয়েদের হাতে মেহেদী দিয়ে দিলো... আমার আর হুমায়ূনের দুই গাল কাঁচা হলুদে রাঙা...
আহা... ২০০৪ সালের সেই রাত... আহা ২০১৭ সালের এই রাত...
আজ ১২ ডিসেম্বর... ২০০৪ এর এই দিনে কুসুম আর হুমায়ূন নতুন জীবন শুরু করেছিলো... কুসুম তার জীবনের সবচাইতে শুভ ১৩ বছর পার করে ফেলল... কুসুমকে শুভেচ্ছা... কুসুমের হুমায়ূনকে শুভেচ্ছা...
No comments:
Post a Comment