Sunday, November 26, 2017

ভেষজ গুণের কারি গাছ Herbs of Herbal Multiples


Green leaf can be used as a perfume spice. The page contains 6.1% protein, 1.0% oil, 16% of starch, 6.4% fiber, and vitamin A and Vitamin C (4 milligram / 100 gram leaves). When the raw curry leaves washed in some water, it is tastier and tangled in the cooking when it is torn.

Cows and khasir meat, mixed vegetables, pulses etc. can be cooked with currant. Curry leaves can be made by making powder by making curry powder. It can be used by cooking bottles while cooking. But the scent of raw leaves is more.

Curry leaves, trees, roots are all herbal qualities. Tree roots are beneficial for tissue diseases. Curiosity and diarrhea are also curable. If you eat a few green leaves then it gets scratched. Removing the leaves and making katha from it, the nausea is removed. It is advisable to use leaf juice to remove the pain of the echocardia.

If there is any poisonous insect anywhere in the body, it is quickly relieved when raw currant leaves are there. Patients of currant leaf roots are fed to patients suffering from severe liver problems. Not only the leaves, it can also be eaten. The fragrance of the oil that is available from the seeds is like a coconut oil and tastes like a pepper. The oil seems to be cold when touching the tongue. Starting from the foothills of the Himalayas in the adjacent jungle of the Sundarbans also saw trees of currant grow.

Under Jhawbitha of Garhwal-Kumaon in Uttar Pradesh, near Banshon in Thakurgaon, Kashuben in Narail, beside the Cafeteria Bird in Comilla, on the land of the Dakophera, where the lunar ground has not seen the plant. However, Anamalai at the University of Tamil Nadu cooked keripatara cooked taste, not only did it taste.

Although karipata tree is a known tree in the country, its use as a perfume tree is almost nonetheless. Kariipata is known somewhere in the country as a festoon tree. Forest-born in the forest, is automatically. Nobody ever planted this tree. Some of these trees are used in poetry work. But no one ever cooks this country using its perfume leaves. But it was not heard that someone cooked without curry leaves and came back to Tamilnadu in India.

Curry leaves have been used to make perfume cooked in South India for centuries. Not only the food is delicious, there are some herbal ingredients on this leaf. So, the leaves of this wild tree can be used as spices like bay leaf. And there is no need for any separate land to cultivate this tree. Additional income opportunities can be created by generating curry leaves using all the fallen places where there are spaces in shade shade available in the vicinity of the house. Seeds should be made from seed first. At the beginning of the rainy season after 2-3 meters, the seedlings will be planted. To plant saplings, half a meter is estimated to be made by holes, and one basket of dirt mixed with dung will be kept on weekdays. Plants have to be planted in June-July. Each year, once every 100-200 g of urea fertilizer will be given to the tree. It is beneficial to irrigate during drought.

If the tree is 15 months old, it can be started from the tree. From the beginning of the leaves, do not pick up the leaves of the leaves and send the old leaves up and sell them in the market. A double tree is sufficient for domestic use. Before commercial cultivation, be sure of its market. This tree does not easily attack a disease insect.

Flowers bloom from February to May. Flowers are like neem fruits. The fruit is oval to round, green in color of raw fruit. As soon as they become mature they get black from black. Seeds are easily planted.

সুগন্ধি মশলা হিসেবে সবুজ পাতা রান্নায় ব্যবহার করা যায়। পাতায় ৬.১%, প্রোটিন, ১.০% তেল, ১৬% শ্বেতসার, ৬.৪% আঁশ ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি (৪ মিলিগ্রাম/১০০ গ্রাম পাতা) আছে। কাঁচা কারিপাতা কয়েকটা পানিতে ধুয়ে রান্নার সময় তার ভেতরে ছিঁড়ে দিলে রান্নায় সুঘ্রাণ ও ঝাঁঝ আসে।

গরু ও খাসির গোশত, মিশ্র সবজি, ডাল ইত্যাদি কারিপাতা দিয়ে রান্না করা যায়। কারিপাতা শুকনো করে গুঁড়া বানিয়ে কারি পাউডার তৈরি করা যায়। বোতলে ভরে রেখে রান্নার সময় তা ব্যবহার করা যায়। তবে কাঁচা পাতায় ঘ্রাণ বেশি।

কারিপাতা, গাছ, শিকড় সবই ভেষজ গুণসম্পন্ন। গাছের শিকড় অর্শ রোগে উপকারী। আমাশয় ও ডায়রিয়া সারাতেও কারিপাতা ওস্তাদ। কয়েকটা সবুজ পাতা চিবিয়ে খেলে এটা সেরে যায়। পাতা ছেঁকে ও তা থেকে ক্বাথ তৈরি করে খেলে বমিভাব দূর হয়। রেচনতন্ত্রের ব্যথা দূর করতে পাতার রস সেবন করতে পরামর্শ দেয়া হয়।

শরীরের কোথাও কোনো বিষাক্ত পোকা কামড়ালে কাঁচা কারিপাতা ডলে সেখানে লাগালে দ্রুত উপশম হয়। যকৃতের কঠিন ব্যথা সারাতে রোগীদের কারিপাতা গাছের শিকড়ের রস খাওয়ানো হয়। শুধু পাতা নয়, এর ফলও খাওয়া যায়। বীজ থেকে যে তেল পাওয়া যায় তার গন্ধ অনেকটা নারকিল তেলের মতো আর স্বাদ মরিচের মতো ঝাঁঝালো। তেল জিহ্বায় স্পর্শ করলে ঠাণ্ডা মনে হয়। হিমালয়ের পাদদেশ থেকে শুরু করে সুন্দরবন সংলগ্ন জনপদেও দেখেছি কারিপাতার গাছ জন্মাতে।

উত্তর প্রদেশে গারোয়াল-কুমায়ূনের ঝাউবিথীর নিচে, ঠাকুরগাঁওয়ের বাঁশবনে, নড়াইলের কাশবনে, কুমিল্লায় বার্ডে ক্যাফেটেরিয়ার পাশে, দাকোপের সাহেবের আবাদে লোনা মাটিতে-কোথায় না দেখেছি গাছটাকে। তবে কারিপাতার রান্না তামিলনাড়–র চিদাম্বরমে আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয়ে খেয়ে তবেই না এর স্বাদ বুঝেছি।

কারিপাতা গাছ এ দেশে পরিচিত গাছ হলেও সুগন্ধি গাছ হিসেবে এর ব্যবহার প্রায় নেই বললেই চলে। কারিপাতা এ দেশে কোথাও কোথাও নিমভূত গাছ হিসেবে পরিচিত। বনে-জঙ্গলে জন্মে, আপনা আপনি হয়। কেউ কখনও এ গাছ লাগায় না। এ গাছ অবশ্য কেউ কেউ কবিরাজী কাজে ব্যবহার করে থাকেন। তবে এর সুগন্ধি পাতা ব্যবহার করে এ দেশে কেউ কখনও রান্না করেন না। কিন্তু ভারতের তামিলনাড়ুতে গিয়ে কারিপাতা ছাড়া রান্না কেউ না খেয়ে ফিরে এসেছে এমনটি শোনা যায়নি।

শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে দক্ষিণ ভারতে রান্নাকে সুগন্ধিযুক্ত করতে কারিপাতার ব্যবহার চলে আসছে। খাদ্যকে শুধু সুস্বাদু করাই নয়, এ পাতার কিছু ভেষজগুণও আছে। তাই আমাদের বুনো এ গাছটির পাতা তেজপাতার মতো মশলা হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। আর এ গাছ চাষে আলাদা কোনো জমি দরকার নেই। বাড়ির আশপাশে যে সব বাগানের ভেতর ছায়া ছায়া ফাঁকা জায়গা পড়ে রয়েছে সে সব পতিত জায়গা ব্যবহার করে কারিপাতা উৎপাদন করে বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে। বীজ থেকে প্রথমে চারা তৈরি করে নিতে হবে। বর্ষার শুরুতে ২-৩ মিটার পর পর জমিতে চারা লাগাতে হবে। চারা লাগানোর জন্য সবদিকে আধা মিটার আন্দাজে গর্ত তৈরি করে গর্তের মাটির সঙ্গে এক ঝুড়ি গোবর সার মিশিয়ে সপ্তাহদুয়েক রেখে দিতে হবে। জুন-জুলাই মাসে চারা লাগাতে হবে। প্রতিবছর জুলাই মাসে একবার গাছ প্রতি ১০০-২০০ গ্রাম ইউরিয়া সার দিতে হবে। খরার সময় সেচ দিলে উপকার হয়।

গাছের বয়স ১৫ মাস হলেই গাছ থেকে পাতা তোলা শুরু করা যায়। কচি পাতা না তুলে গোড়ার দিক থেকে বয়স্ক পাতা তুলে আঁটি বেঁধে বাজারে বেচতে পাঠাতে হবে। ঘরোয়া ব্যবহারের জন্য একটা দুটো গাছই যথেষ্ট। বাণিজ্যিকভাবে চাষের আগে এর বাজার সম্বন্ধে নিশ্চিত হতে হবে। এ গাছে সহজে কোনো রোগ পোকা আক্রমণ করে না।

ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে ফুল ফোটে। ফুল থেকে নিমের মতো ফল হয়। ফল ডিম্বাকার থেকে গোলাকার, কাঁচা ফলের রঙ সবুজ। পরিপক্ব হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লালচে থেকে কালো হয়ে যায়। বীজ থেকে সহজে চারা হয়।

No comments:

Post a Comment