'আমলকি' একপ্রকার ভেষজ
ফল। সংস্কৃত ভাষায়
এর নাম 'আমালিকা'।
ইংরেজি
নাম 'aamla'। দামে
সস্তা এই ফল
মানুষ রুচি বৃদ্ধি,
রূপচর্চা থেকে নানাবিধ কাজে
ব্যবহার করে থাকে।
চলুন জেনে নিই
আমলকির কয়েকটি উপকারিতা বা
ব্যবহারিক দিক-
১.
চুলের যত্নে : আমলকি
চুলের টনিক হিসেবে
কাজ করে। চুলের
যত্ন নেওয়ার জন্য
এটি একটি অপরিহার্য উপাদান। আমলকি
খেলে শুধু চুলের
গোড়াই শক্ত হয়
না, চুল দ্রুত
বেড়ে ওঠে।
২.
খুশকির সমস্যায় : চুলকে খুশকিমুক্ত ও
কম বয়সে চুল
পাকা রোধে আমলকি
বিশেষ ভূমিকা পালন
করে।
৩.
স্কার্ভি দূরীকরণে : সাধারণত ভিটামিন সি
এর অভাবে স্কার্ভি নামক
রোগ আমাদের শরীরে
বাসা বাধে। এর
ফলে দাঁতের মাড়ি
দিয়ে রক্ত পড়ে,
মাড়িতে ঘা হয়,
শরীর দুর্বল হয়ে
যায়, চামড়ার নিচে
রক্তক্ষরণ হয়, চেহারা
ফ্যাকাসে হয়ে যায়
এবং হাড়ের মধ্যে
পরিবর্তন দেখা দেয়।
অথচ প্রতিদিন মাত্র
১-২টি আমলকি
খেলে এসব থেকে
রক্ষা পাওয়া যায়।
কারণ
এতে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন সি।
৪.
আলসার চিকিৎসায় : নিয়মিত আমলকি
খেলে পেটের আলসার
দূর হয়।
৫.
কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলস
চিকিৎসায়
: আমলকির রস কোষ্ঠকাঠিন্য দূর
করে এবং পাইলস
রোগ থেকে মুক্তি
দেয়।
৬.
ক্ষুধামন্দা দূর করতে
: প্রতিবার খাওয়ার আগে
মাখন ও মধুর
সঙ্গে আমলকির গুঁড়া
মিশিয়ে খেলে ক্ষুধামন্দা দূর
হয়।
৭.
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিকরণে : দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা
পালন করে আমলকি।
এছাড়া চোখ লাল
হওয়া, চুলকানো ও
চোখ দিয়ে পানি
পড়া রোধেও এটি
বিশেষ ভূমিকা রাখে।
৮.সর্দি-কাশির
চিকিৎসায়
: দীর্ঘমেয়াদী কাশি-সর্দির
জন্য আমলকির নির্যাস উপকারী।
৯.
মেদ দূর করে
: শরীরের অতিরিক্ত মেদ
ঝরিয়ে দৈহিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি
করে। এমনকি এটি
খেলে হজম শক্তি
বেড়ে যায়। ফলে
মানুষ মুটিয়ে যায়
না।
১০.
চর্মরোগের চিকিৎসায় : প্রতিদিন সকালে
মধুর সঙ্গে আমলকির
রস মিশিয়ে খেলে
চর্মরোগ নিরাময় হয়।
তাছাড়া এটি খেলে
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি
পায় এবং মুখের
চামড়ায় কোনো দাগ
পড়ে না।
No comments:
Post a Comment