Sunday, December 3, 2017

Laily-Majnu love story too! লাইলি-মজনুর প্রেম কাহিনীকেও হার মানাল এই প্রেমিকযুগল!

Liu GuoJiang-Ju Chawking
The world is immortal in Laily-Majnu, Shiri-Farhad and Romio-Juliet's poetry of love. Throughout the ages, their love story has been voiced in the face of the people. Now the love story is about to lose the Chinese lover duo Liu-Zu

The boy was just six years old. And the girl's 16. The newly born girl is riding her palanquin in the husband's house. The two of them first appeared immediately.



Read more: The quality of men is the most attracted women!



June of 1942. A small village in China, Gaouton. The locals believed that after the loss of young boys' milk to their teeth, if a bride gave her a hand inside her mouth, the boy's fate would be good. The new wife, sitting in the palanquin, chawking, while giving the face to Liu's mouth, the naughty boy bumps his finger.

Naturally, Jude Chawking wants to see the boy get rid of the curtain. In front of a little boy, a beautiful face appeared.


Later, when talking about Liu's marriage, she would have said that she had a wife like a girl in her palanquin. Ju's marriage to the richest person in the village of Liu After 10 years of marriage, husbands are ju Then the condition of his unfulfilled child with four children. At the same time, 18-year-old Liu, standing next to him. She used to do many things for Joo and her children.

Three years have passed. A sweet relationship is made between Ju and Liu. However, society could not accept it. So one day, behind all things, leaving the village with 29 years old Joo and her four children, 21-year-old Liu

They started building straws on the hill and started living around. In the first few years of life, despite difficulties, Juh-Liu gradually developed his own family.

The child had died of four children of the first husband. After the birth of four more children, Ju As a grown up, the children started living in the plains of the countryside leaving their mother's house in the same house. Liu-Zu spent all their life in love.

In 2001, an exploration team suddenly discovered Liu-Juarez. There is no doubt about the stairs on the hill. They get to see the old couple. The world can know a great love story.

Liu has made 6000 steps stairs on the hills for 50 years, so that there is no difficulty in jumping to slippery way. Liu, without any machinery, makes this unthinkable job with just the pot. Liu breaks 36 steel caps to create the stairs of love.

Liu's death in 2006 Their child Liu Mingsheng said that Liu died only after returning home after work, Liu died. The love of the parents was so deep that even after death, it was very difficult to get rid of their mouth. Liu is 72 years old.

Jum left the earth in October 2012, at the age of 88 years. But, without a husband, Jup was alive for a few days, the same thing happened in the echo, 'If you leave me before, how will you live?' Liu-Zu has left the earth But their love remains - 6000 steps 'love stairs'.

In fact, the story of Xu-Liu was selected in China's first 10 love stories in 2006. The most popular search engine in China, 'Baidu', 'Most Searched Term' was 'Ladder of Love' or 'Love Stairs'.

পৃথিবীতে অমর হয়ে আছে লাইলি-মজনু, শিরি-ফরহাদ ও রোমিও-জুলিয়েটের প্রেমের কাব্যগাঁথা। যুগে যুগে তাদের প্রেম কাহিনী ধ্বনিত হয়েছে মানুষের মুখে। এবার সেই প্রেম কাহিনীকেও হার মানাল চীনা প্রেমিক যুগল লিউ-জু।

ছেলেটির বয়স ছিল তখন মাত্র ছয় বছর। আর মেয়েটির ১৬। সদ্যবিবাহিত সেই মেয়েটি পালকিতে চড়ে চলেছে স্বামীর ঘরে। দুজনের প্রথম দেখা তখনই।



আরও পড়ুন : পুরুষের যে গুণ সবচেয়ে বেশি আর্কষণ করে নারীকে!



১৯৪২ সালের জুন মাস। চীনের একটি ছোট্ট গ্রাম গাওতান। স্থানীয়দের বিশ্বাস ছিল, ছোট ছেলেদের দুধের দাঁত পড়ে যাওয়ার পরে, কোনও নববধূ তার মুখের ভিতরে হাত দিলে, ছেলেটির ভাগ্য ভাল হবে। পালকিতে বসে থাকা নতুন বউ জু ছাওকিং, লিউয়ের মুখে হাত দিতে গেলে, দুষ্টু ছেলেটি তার আঙুল কামড়ে দেয়।

স্বাভাবিকভাবেই, রেগে গিয়ে দোলার পরদা সরিয়ে ছেলেটিকে দেখতে চায় জু ছাওকিং। ছোট্ট ছেলেটির সামনে ফুটে ওঠে সুন্দর একটি মুখ।


পরে লিউকে বিয়ের কথা বললেই সে বলতো, তার ওই পালকিতে থাকা মেয়েটির মতো বউ চাই। লিউ-এর গ্রামের সব থেকে ধনী ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল জু-এর। বিয়ের ১০ বছর পরই স্বামীহারা হয় জু। চার সন্তান নিয়ে তখন তার অকুলপাথার অবস্থা। তখনই পাশে এসে দাঁড়ায় সদ্যযুবা ১৮ বছরের লিউ। জু ও তার সন্তানদের জন্য নানা কাজ করে দিত সে।

এমন করেই কেটে যায় তিনটি বছর। মিষ্টি এক সম্পর্ক তৈরি হয় জু ও লিউয়ের মধ্যে। কিন্তু, সমাজ তা মেনে নিতে পারেনি। তাই একদিন সব কিছু পিছনে ফেলে ২৯ বছরের জু ও তার চার সন্তানকে নিয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যায় ২১ বছরের লিউ।

পাহাড়ের ওপর খড়ের ঘর তৈরি করে বসবাস শুরু করে তারা। প্রথম কয়েক বছর খুব কষ্ট করে জীবনযাপন করলেও, আস্তে আস্তে নিজেদের সংসার গুছিয়ে নেয় জু-লিউ।

প্রথম স্বামীর চার সন্তানের মধ্যে ছোট সন্তানটি মারা যায়। পরে আরও চার সন্তানের মা হন জু। বড় হয়ে ছেলেমেয়েরা একে একে মা-বাবার পাহাড়ের বাড়ি ছেড়ে জনপদে সমতলে বসবাস শুরু করে। লিউ-জু তাদের ‘ভালবাসা’তেই কাটিয়ে দেয় সারা জীবন।

২০০১ সালে এক অভিযাত্রী দল হঠাৎই খোঁজ পায় লিউ-জুয়ের। পাহাড়ের গায়ে ধাপে ধাপে সিঁড়ি দেখে সন্দেহ হয়। তা বেয়ে উঠেই তারা দেখা পায় বৃদ্ধ দম্পতির। পৃথিবী জানতে পারে এক অসাধারণ প্রেমকাহিনি।

পিচ্ছিল পথে ওঠা-নামা করতে যাতে জু-এর কোনও অসুবিধা না হয়, সেই জন্য লিউ ৫০ বছর ধরে পাহাড়ের গায়ে তৈরি করেছে ৬০০০ ধাপের সিঁড়ি! কোনও যন্ত্রপাতি ছাড়াই, শুধু ছেনি দিয়ে এই অসাধ্য সাধন করে লিউ। ভালবাসার ওই সিঁড়ি তৈরি করতে ৩৬টি স্টিলের ছেনি ভাঙে লিউ।

২০০৬ সালে মৃত্যু হয় লিউয়ের। তাদের সন্তান লিউ মিংশেং জানান, প্রতিদিনের কাজ সেরে বাসায় ফেরার পরই মারা যায় লিউ। মা-বাবার ভালবাসা এতটাই গভীর ছিল যে, মৃত্যুর পরেও তাদের মুঠি ছাড়াতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। লিউয়ের বয়স তখন ৭২ বছর।

২০১২ সালের অক্টোবরে পৃথিবী ছাড়েন জু, প্রায় ৮৮ বছর বয়সে। কিন্তু, স্বামী ছাড়া যে কয়েকদিন বেঁচে ছিল জু, প্রতিক্ষণে একই কথা আউড়ে গিয়েছেন, 'আমাকে রেখে তুমি আগে চলে গেলে, তোমাকে ছেড়ে বাঁচব কী করে?' লিউ-জু চলে গেছে পৃথিবী ছেড়ে। কিন্তু রয়ে গিয়েছে তাদের প্রেমের সাক্ষী- ৬০০০ ধাপের ‘ভালবাসার সিঁড়ি’।  

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে চীনের প্রথম ১০টি প্রেম কাহিনির মধ্যে নির্বাচিত হয়েছিল জু-লিউয়ের কাহিনি। চীনের সব থেকে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন ‘বাইডু’তে ‘মোস্ট সার্চড টার্ম’ ছিল ‘ল্যাডার অফ লাভ’ বা ‘ভালবাসার সিঁড়ি’।

No comments:

Post a Comment