Wednesday, December 6, 2017

প্রবাসে ‘উপযুক্ত’ পাত্র অমিল Dismissable 'suitable' pottery in exile

Mohammad Zainal Abedin

Expatriate families growing in America Many girls are now highly educated. Work for a prestigious position on a good salary. Increasing age increases the age of the career. But they do not match the appropriate pot.
Seeing the bus with a mother. The marriage of two daughters is getting old. Both of them from childhood to America After high education, do good jobs. Mother's request, whether you have a suitable son for my girls. The bride and her guardian want 'fit' pot. Doctor or Engineer say 'fit'
In the newspapers published in New York, 'Pottery' column often appears in the bride's hand, long, educated in America, and so forth. The ad is still not responding. As a result parents are disappointed.
Why is this crisis in front of expatriates? In response to this question, expatriate sociologists and social analysts have pointed to many elements. The real situation is that, when an expatriate parent's daughter is married, she gets upset to marry him. But the girl's statement is that she is not yet married. Do not marry before it is established itself.
Do not want a 30-year-old paternal grandmother. Many boys get married before they are 30 years old. And many exotic pots and their relatives' first choice Swadeshi bride. On the other hand, when talking about the expatriate woman, questions were asked about their position in Bangladesh before coming to America. Due to various problems, expatriate parents and mothers But in the Western society these issues are minor.
The expatriate who has studied in sociology said that the mind-mentality and attitude of the Swadeshi son can naturally be different from the older woman in America. Because of this, expatriate girls want to marry Swadeshi boys but they do not get much response. On the other hand, expatriate girls have mixed with the mainstream culture of America, even the reality, discourage expatriates. They see, with whom does the girl associate with whom.
On the other hand, many parents believe that if married to a son from the country, it may be an additional burden for the family. Because bringing a highly educated boy from Bangladesh to a girl's husband is a responsibility to her parents and others. Such a vessel will spend for his family. This will create family unrest. The country's degree is not acceptable in most cases in America. Girls can feel embarrassed to introduce their husbands. These reasons have also prevented expatriate girls from getting married.
According to a sociologist expatriate living in New Jersey, 'The mainstream ethics will start in our society until the crisis continues. For such a style, we may have to wait more than two generations. Institutional weddings are not important in American society. Maybe we can not be seen that our children have been completely unified with the mainstream culture of America. It is difficult to say that what is seen in the mainstream family and society in America is not seen in our community in the future. We're heading towards that. There are many parents who cry for such a child's initiative. But they can not stop them. This trend can not be stopped, rather it will be faster.

  


আমেরিকায় বেড়ে ওঠা প্রবাসী পরিবার মেয়েরা অনেক মেয়েই এখন উচ্চ শিক্ষিত। ভালো বেতনে মর্যাদাপূর্ণ পদে চাকরি করেন। ক্যারিয়ার গড়তে গিয়ে বয়স বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাঁদের জন্য মিলছে না উপযুক্ত পাত্র। 
বাসে দেখা হলো এক মায়ের সঙ্গে । দুই মেয়ের বিয়ের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। দুজনই শিশুকাল থেকে আমেরিকায়। উচ্চ শিক্ষা শেষে ভালো চাকরি করেন। মায়ের অনুরোধ, আমার মেয়েদের জন্য আপনার জানা কোনো উপযুক্ত ছেলে আছে কি না। পাত্রী এবং তাদের অভিভাবক ‘উপযুক্ত’ পাত্র চান। ‘উপযুক্ত’ বলতে ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার। 
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত পত্রিকাগুলোতে ‘পাত্র চাই’ কলামে প্রায়ই দেখা যায় পাত্রী সুদর্শনা, লম্বা, আমেরিকায় শিক্ষিত, উঁচুপদে চাকরিরত ইত্যাদি বিবরণ। এর পরেও বিজ্ঞাপনে সাড়া মিলছে না। ফলে হতাশ হচ্ছেন অভিভাবকেরা। 
প্রবাসীদের সামনে এই সংকট কেন? এ প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী সমাজবিজ্ঞানী ও সমাজ-বিশ্লেষকেরা অনেক উপাদানের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। বাস্তব পরিস্থিতি হলো, প্রবাসী পিতামাতার মেয়ের বিয়ের বয়স হলেই তাঁকে পাত্রস্থ করতে উঠে পড়ে লাগেন। কিন্তু মেয়ের বক্তব্য তাঁর এখনো বিয়ের বয়স হয়নি। নিজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে বিয়ে করবে না। 
৩০ বছরের পাত্র সমবয়সী পাত্রী চান না। আবার ৩০ বছর বয়স হওয়ার আগেই অনেক ছেলে বিয়ে করে ফেলেন। আবার অনেক প্রবাসী পাত্র ও তাঁর স্বজনদের প্রথম পছন্দ স্বদেশি কনে। অন্যদিকে প্রবাসী পাত্রীর বিষয়ে কথা উঠলে আমেরিকায় আসার আগে বাংলাদেশে তাঁদের অবস্থান কী ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। ফলে নানাবিধ সমস্যায় পড়েন প্রবাসী বাবা-মায়েরা। অথচ পশ্চিমা সমাজে এ বিষয়গুলো গৌণ।
সমাজবিজ্ঞানে গবেষণা করেছেন এমন প্রবাসী বলেন, স্বদেশি ছেলের মন-মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গি স্বাভাবিকভাবেই আমেরিকায় বড় হওয়া পাত্রী থেকে ভিন্ন হতে পারে। এ কারণে প্রবাসী মেয়েরা স্বদেশি ছেলেকে বিয়ে করতে চাইলেও অনেক ক্ষেত্রে সাড়া পান না। অন্যদিকে প্রবাসী মেয়েরা আমেরিকার মূলধারার সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে গেছে এমন ধারণা, এমনকি বাস্তবতা, প্রবাসী পাত্রদের নিরুৎসাহিত করে। তাঁরা দেখেন, এখানকার মেয়ে কার কার সঙ্গে কীভাবে মেলামেশা করে। 
অন্যদিকে অনেক অভিভাবক মনে করেন দেশ থেকে কোনো ছেলের সঙ্গে বিয়ে হলে তা পরিবারের জন্য হয়তো বাড়তি বোঝা হতে পারে । কারণ বাংলাদেশ থেকে উচ্চ শিক্ষিত ছেলেকে মেয়ের স্বামী হিসেবে আনলে তাঁর বাবা-মা ও অন্যদের প্রতি একটা দায়বদ্ধতা থাকে। এ ধরনের পাত্র তাঁর পরিবারের জন্য খরচ করবেন। এতে পারিবারিক অশান্তি তৈরি হবে। আবার দেশের ডিগ্রি আমেরিকাতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্যতা পায় না। মেয়েরা তাই স্বামীর পরিচয় দিতে অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। এসব কারণও প্রবাসী মেয়েদের বিয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। 
নিউজার্সিতে বসবাসরত প্রবাসী এক সমাজবিজ্ঞানীর মতে, ‘এ সংকট চলতে চলতে শেষ পর্যন্ত আমাদের সমাজে মূলধারার রীতি চালু হবে। এমন রীতির জন্য আমাদের হয়তো আরও দুই-এক প্রজন্ম অপেক্ষা করতে হবে। আমেরিকার সমাজে প্রাতিষ্ঠানিক বিয়ে জরুরি নয়। হয়তো আমরা দেখা যেতে পারব না যে, আমাদের সন্তানরা আমেরিকার মূলধারার সংস্কৃতির সঙ্গে পুরোপুরি একীভূত হয়ে গেছে। আমেরিকার মূলধারা পরিবার ও সমাজে এখন যা দেখা যাচ্ছে তা ভবিষ্যতে আমাদের কমিউনিটিতেও দেখা যাবে না, এমনটি বলা মুশকিল। আমরা সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছি। এমন অনেক পিতামাতা আছেন যারা সন্তানের এমন উদ্যোগের জন্য কান্নাকাটি করেন। কিন্তু তাদের থামাতে পারছেন না। এ ধারা বন্ধ করা যাবে না, বরং বেগবান হবে।’

No comments:

Post a Comment