Monday, December 4, 2017

A great love story on the hill পাহাড়ের গায়ে অসাধারণ এক প্রেমকাহিনি


The boy was only six years old. And the girl's sixteen. The newly born girl is riding in the husband's house The two of them first appeared first.

June of 1942. A small village in China, GaoTan. The locals believed that after the loss of young boys' milk to their teeth, if a bride gave her a hand inside her mouth, the boy's fate would be good.

That is what happened to six-year-old Liu GuoJiang. But the new wife, Chawking, sitting in the lap, giving a face to Liu's face, the naughty boy bent his finger.

More news: Alien meets!

Naturally, the rug turns to twist the curtain. In front of a little boy, a beautiful face appeared. Later, when talking about Liu's marriage, she would have said that she had a wife like a girl in her palanquin.

Juhu married the richest person in the village of Liu, and only 10 years after marriage, husbands are married to Ju. Then the condition of his faintness with four children was then. Then came the other side Liu. Liu did many things for Joo and her children.

It is almost three years old and a sweet relationship is created between Ju and Liu. However, society could not accept it. So one day behind all things Leo left the village with Joo and her four children.

Lover couple started living in a hay on the hills and started living here. In the first few years of life, despite difficulties, Juh-Liu gradually developed his own family.

Although the first child of four children died in the first relationship, Zu has four more children. The children grew up and grew up living in the plains of the mother-father's hills, but Liu-joo spent their lives in love, throughout the whole life.

In 2001, an exploration team suddenly discovered Liu-Juarez. There is no doubt about the stairs on the hill. They get to see the old couple get up. And the world can know about a great love story.

Liu has made 6000 steps stairs on the hills for 50 years, so that there is no disadvantage of JU to make the slippery way down. Without any apparatus, he only makes this work with a pot. According to a Chinese weekly, 'Chinese Women Weekly', Liu breaks 36 steel caps to create the stairs of love, Liu.

In 2006, Liuay died suddenly. Liu Mingheng, one of their children, said that Liu died after recovering from daily work. The love of the parents was so deep that even after death, it was very difficult to get rid of their mouth. Liu is 72 years old.

Zu, in October 2012, is about 88 years old. But, without a husband, Jup, who had survived for a few days, did the same thing in the echo of that time - leaving me before you left, how would you live?

Liu-Zoo has left the earth But their love remains - 6000 steps 'love stairs'.

In fact, the story of Zu-Liu was selected in China's first 10 love stories in 2006. And, the most popular search engine in China, 'Baidu' had the 'Most Spared Term', 'Ladder of Love'.

ছেলেটির বয়স তখন মাত্র ছ’বছর। আর মেয়েটির ষোলো। সদ্যবিবাহিত মেয়েটি দোলায় চড়ে চলেছে স্বামীর ঘরে। দু’জনের প্রথম দেখা তখনই।

১৯৪২ সালের জুন মাস। চিনের একটি ছোট্ট গ্রাম গাওতান। স্থানীয়দের বিশ্বাস ছিল, ছোট ছেলেদের দুধের দাঁত পড়ে যাওয়ার পরে, কোনও নববধূ তার মুখের ভিতরে হাত দিলে, ছেলেটির ভাগ্য ভাল হবে।

ছ’বছরের লিউ গুয়োজিয়াং-এর সঙ্গেও এমনই ঘটে সেদিন। কিন্তু দোলায় বসে থাকা নতুন বউ জু ছাওকিং, লিউয়ের মুখে হাত দিতে গেলে, দুষ্টু ছেলেটি তার আঙুল কামড়ে দেয়।

আরও খবর : এলিয়েনের দেখা মিলবে!

স্বাভাবিকভাবেই, রেগে গিয়ে দোলার পরদা সরিয়ে দেয় জু। ছোট্ট ছেলেটির সামনে ফুটে ওঠে সুন্দর একটি মুখ। পরবর্তীকালে, লিউকে বিয়ের কথা বললেই সে বলতো, তার ওই পালকিতে থাকা মেয়েটির মতোই বউ চাই।

লিউ-এর গ্রামের সব থেকে ধনী ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল জু-এর এবং দাম্পত্যের মাত্র ১০ বছর পরেই স্বামীহারা হয় জু। চার সন্তান নিয়ে তখন তাঁর অকুলপাথার অবস্থা। তখনই পাশে এসে দাঁড়ায় সদ্যযুবা লিউ। জু ও তার সন্তানদের জন্য নানা কাজ করে দিত লিউ।

এমন করেই কেটে যায় প্রায় তিনটি বছর এবং মিষ্টি এক সম্পর্ক তৈরি হয় জু ও লিউয়ের মধ্যে। কিন্তু, সমাজ তা মেনে নিতে পারেনি। তাই একদিন সব কিছু পিছনে ফেলে জু ও তার চার সন্তানকে নিয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যায় লিউ।

পাহাড়ের উপরে একটি খড়ের ঘর তৈরি করে বসবাস শুরু করে প্রেমিক যুগল। প্রথম কয়েক বছর খুব কষ্ট করে জীবনযাপন করলেও, আস্তে আস্তে নিজেদের সংসার গুছিয়ে নেয় জু-লিউ।

প্রথম সম্পর্কের চার সন্তানের মধ্যে ছোট সন্তানের মৃত্যু হলেও, জুয়ের আরও চার সন্তান হয়। বড় হয়ে ছেলেমেয়েরা একে একে মা-বাবার পাহাড়ের বাড়ি ছেড়ে জনপদে সমতলে বসবাস শুরু করলেও, লিউ-জু তাঁদের ‘ভালবাসা’তেই কাটিয়ে দেয় সারা জীবন।

২০০১ সালে এক অভিযাত্রী দল হঠাৎই খোঁজ পায় লিউ-জুয়ের। পাহাড়ের গায়ে ধাপে ধাপে সিঁড়ি দেখে সন্দেহ হয়। তা বেয়ে উঠেই তাঁরা দেখা পায় বৃদ্ধ দম্পতির। এবং পৃথিবী জানতে পারে এক অসাধারণ প্রেমকাহিনির কথা।

পিচ্ছিল পথে ওঠা-নামা করতে যাতে জু-এর কোনও অসুবিধা না হয়, সেই জন্য লিউ ৫০ বছর ধরে পাহাড়ের গায়ে তৈরি করেছে ৬০০০ ধাপের সিঁড়ি। কোনও যন্ত্রপাতি ছাড়াই, শুধুমাত্র ছেনি দিয়ে এই কীর্তি স্থাপন করে সে। চিনের এক সাপ্তাহিক পত্রিকা, ‘চাইনিজ উইমেন উইকলি’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভালবাসার ওই সিঁড়ি তৈরি করতে ৩৬টি স্টিলের ছেনি ভাঙে লিউ।

২০০৬ সালে হঠাতই মৃত্যু হয় লিউয়ের। তাদের এক সন্তান লিউ মিংশেং জানান, প্রতিদিনের কাজ সেরে ফেরার পরেই মারা যায় লিউ। মা-বাবার ভালবাসা এতটাই গভীর ছিল যে, মৃত্যুর পরেও তাদের মুঠি ছাড়াতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। লিউয়ের বয়স তখন ৭২ বছর।

২০১২ সালের অক্টোবরে চলে যায় জু, প্রায় ৮৮ বছর বয়সে। কিন্তু, স্বামী ছাড়া যে কয়েকদিন বেঁচে ছিল জু, প্রতিক্ষণে একই কথা আউড়ে গিয়েছেন সে— আমাকে রেখে তুমি আগে চলে গেলে, তোমাকে ছেড়ে বাঁচব কী করে?

লিউ-জু চলে গিয়েছে পৃথিবী ছেড়ে। কিন্তু রয়ে গিয়েছে তাদের প্রেমের সাক্ষী— ৬০০০ ধাপের ‘ভালবাসার সিঁড়ি’।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে চিনের প্রথম ১০টি প্রেম কাহিনীর মধ্যে নির্বাচিত হয়েছিল জু-লিউয়ের কাহিনি। এবং, চিনের সব থেকে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন ‘বাইডু’তে ‘মোস্ট সার্চড টার্ম’ ছিল ‘ল্যাডার অফ লাভ’।

No comments:

Post a Comment