আশি ও নব্বই দশকে বলিউডের কিছু সিনেমা রয়েছে,
যে সকল সিনেমার নাম তৎকালীন সময়ে সকলের মুখে মুখে থাকত। ইয়েস বস, ইশক্,
হাম হ্যায় রাহি পেয়ার কে, মিস্টার এন্ড মিসেস খিলাড়ি অথবা তুলুম জনপ্রিয় ও দর্শক নন্দিত কেয়ামত সে কেয়ামত তাক। এই সিনেমাগুলো দেখেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার।
জনপ্রিয় এই সকল সিনেমায় যিনি অভিনয় করেছেন তিনি আর কেউ নন, চিরতারুণ্যের অধিকারিণী জুহি চাওলা! তার মুখভঙ্গি ও মিষ্টি হাসির জাদু দিয়ে কোটি কোটি দর্শকের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন
‘কুইন কমেডি’ খ্যাত জুহি। গেলো ১৩ নভেম্বর ছিল জুহি চাওলা’র ৫০ তম জন্মদিন!
একেবারেই অবিশ্বাস্য যেন!
দেখতে দেখতে অর্ধশত বছর পার করে ফেলেছেন জুহি চাওলা। অথচ বয়সের এই সংখ্যা তার তারুণ্য,
চেহারা ও হাসির মাঝে এতটুকুও প্রভাব ফেলতে পারেনি এখনও!
১৯৮৬ সালের
‘মিস ইন্ডিয়া’ খেতাব জেতার পরে এতগুলো বছর পার হয়ে গেলেও,
এখনও যেন তিনি সেই ১৯৮৬ সালের তরুণীটি রয়ে গিয়েছেন!
নিজেকে এতোটা নিখুঁত তারুণ্যের মাঝে কীভাবে ধরে রেখেছেন তিনি, এমন প্রশ্ন মনের মাঝে উঁকি দেওয়াটাই স্বাভাবিক। জেনে নিন জুহি চাওলা কীভাবে তার খাদ্যাভাস মেনে চলেন নিজের চেহারার মাঝে তারুণ্য ও সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য।
প্রতিদিন আট গ্লাস পরিমাণ পানি পান করার ফলে ত্বকের স্বাভাবিক রঙ বজায় থাকে। জুহি চাওলা সকলকে পরামর্শ দেন, হাইড্রেটেড থাকার জন্য এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য ৬ থেকে ৮ গ্লাস পরিমাণ পানি পান করতে। দিনের শুরু লেবু ও মধু মিশ্রিত ডিটক্স পানি দিয়ে করার কথা বলেন তিনি। এই পানি শরীরের ভেতরে ডিটক্সিফাই করে সুস্থ ও পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
ত্বকের ব্যাপারে জুহি বিশেষভাবে বলেন,
মুখের ত্বক প্রাকৃতিকভাবে যেমন থাকে, তাকে ঠিক সেভাবেই রাখা উচিৎ। অতিরিক্ত মেকআপ পণ্য অথবা কেমিক্যালযুক্ত পণ্য ব্যবহারে ত্বক তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে। ত্বকের যা করা উচিৎ তা হলো- নিয়মিত ভিত্তিতে ত্বক পরিষ্কার করা, যেন ত্বক সুস্থ থাকে।
প্রতিদিনের খাদ্যাভাস
জুহি চাওলা তার খাদ্যাভ্যাসে মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলেন এবং সিদ্ধ ও বেক করা সবজী বেশী রাখার চেষ্টা করেন। তার খাদ্য তালিকার খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার হলো- এক বাটি ভর্তি দই। দই শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে, ত্বকের শুষ্কভাব দূর করে এবং ত্বককে কোমল রাখতে সাহায্য করে।
সস্তা কসমেটিক পণ্য ব্যবহার থেকে বিরত থাকা এবং ঘরোয়া সমাধান বেছে নেওয়া
জুহি চাওলা কোনোভাবেই পণ্যের গুণগত মানের ক্ষেত্রে ছাড় দিতে প্রস্তুত নন। যে কারণে,
চড়া মূল্যের এবং ভালো মানের কসমেটিক পণ্য কেনা ও ব্যবহারের প্রতি সর্বদা লক্ষ্য রাখেন তিনি। যদি চড়া মূল্যের কারণে কোন কসমেটিক কেনা সম্ভব না হয়, তবে সেক্ষেত্রে তিনি ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করার কথা উল্লেখ করেছেন।
নিজের চোখের যত্ন নেওয়া
নিজের ত্বকের প্রতি খেয়াল রাখা ও যত্ন নেওয়া সকলই একদম পানিতে মিশে যাবে যদি কেউ তার নিজের চোখের প্রতি যত্নশীল না হয়ে থাকে! ক্লান্ত চোখ হলো একজন মানুষের বয়স বেড়ে যাবার প্রথম ও প্রধান পয়েন্ট। কারণ চোখের চারপাশে বলিরেখা,
চোখের নীচে কালো দাগ পড়ার মাধ্যমেই বয়সের ছাপটা বেশী পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। ক্লান্ত চোখের ক্ষেত্রে জুহি চাওলা চোখের উপরে দুই পিস আলুর টুকরো রেখে দেন আলুর ঠাণ্ডা প্রকৃতির জন্য। তবে চোখের ক্ষেত্রে খুব হালকা ধাঁচের নাইট ক্রিমও ব্যবহার করা যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment