Rohingyas are currently living as helpless refugees in Bangladesh. The Rohingya problem is not one day.
Hundred years of history of Rohingas too. BC 1500 years ago their ancestors came from East India in Arakan State and settled there. Arab businessman arrived in Arakan from 1700-1800. People from different cultures and different groups came to Arakan for trade related matters. Of these, different origins of Indian origin, Bengali, Arabs, Persian Afghans, and Portuguese came to Arakan. The social, political, and economic status of the Rohingya Muslims from the Mughal period was better than the Mongols. These different people were mixed with the local population of Arakan. Their arrival came thousands of years ago.
In 1823 the British ruler occupied Arakan.
Then they gradually occupied Burma. They take more than 50 years to complete Burma. In 1948, when India and Pakistan got independence, the British government gave independence to Burma in 1948. In May 1946, Rakhine wanted to connect Rakhine province with Pakistan through the consolidation of two cities called Boothding and Maungdow. Two months later, the Rohingya Muslim leadership formed the North Arakan Muslim League in Akyab. Then Rohingya Muslims tried to separate from Burma as a separate province with Pakistan. On 4 January 1948 Burma got independence from the British. The British dropped the Rohingya Muslims from the list of Burmese ethnic groups in their ranks. In 1954, the elected prime minister gave full rights to Rohingas. By converting the numerical mistake of the English nation, the Burmese military junta took away their citizenship in 1982. Ruthless ruthless oppression, murder, rape of Rohingyas, which continues to this day.
In the Arakan state of Myanmar on the eastern border of Bangladesh, Rohingya people have been living for hundreds of years and have been tortured and genocide on them for the past several decades. They are trying to run on Bangladesh again and again, due to the Myanmar people's responsibility. But the demand for this freedom of Rohingyas gradually goes towards armed struggle. The Rohingya population could not get out of this crisis due to the British's negligence.
In 1978, Bangladesh provided shelter to 2,80,000 Rohingya people. In 2012, hundreds of Rohingya were killed and 1,12,00,000 were left without house. In 1982, due to the new law, Rohingyas were denied the rights of Myanmar citizens, and denied all rights. The Myanmar government took the pledge to push Bangladesh with the name of the Bengali government. The country and the foreign evil forces have got many snares with the non-living Rakhine Rohingya who are victims of poverty, illiteracy and social deprivation. Tried to take up the cause of religious extremism in the way of religious violence, made human trafficking grounds, carried out drug trafficking and used Rohingyas to destabilize and break communal harmony in Bangladesh. Undoubtedly, the uncontrolled presence of Rohingyas and non-Rohingya people is the source of social, economic and political risks in Bangladesh. Myanmar helicopter has violated Bangladesh airspace several times in the meantime. Landmines have been kept on the border. Continuously shedding bullets. Despite many provocations, Bangladesh wants peaceful resolution. Already around 5 lakh Rohingya resides in Bangladesh. According to the UN statement, 4.99 thousand Rohingyas have taken shelter.
According to UNESCR, if this trend of intensification continues, this number is expected to exceed 10 million. Considering the humanitarian situation, Bangladesh has taken position beside innocent Rohingyas. The Honorable Prime Minister has observed the refugee camps and made a commitment to be with the helpless people as a human being. Like everyone mother embraces.
Indirectly, many powerful states and organizations in the world support Bangladesh, but they must be considered sincerely in support. So do not walk in the path of war and walk in peaceful solutions. The world has to be vocal It is possible to walk in the diplomatic way. No way the war can be supported. Each soul has a lot of value and this problem is not ours, this problem is quite different from Myanmar. So, the world should use the pressure of Myanmar to resolve this crisis quickly. Do not forget about the war-ravaged Syria, Iraq's helpless consequences. The provocative speeches of war are being raised through social media. But why this war? Why the people of this country will fight with the crisis of other countries? Bangladesh Army is capable of fighting any war. If the powerful states directly support Myanmar in the war, it will fall helplessly in this country. The Rohingya people will have the opportunity to talk. Parents, brothers and sisters lost in front of the eyes will want to take revenge, but due to lack of opportunity to talk, there will be a straying. The world must be called their militant?
Aung San Suu Kyi should work without solving the power of the armed forces, and in the solution of the Rohingya crisis with sincere attitudes.
Myanmar will have to bear the consequences of this crisis in the near future. The Bangladesh government said in a strong voice - "We want to maintain good relations with the neighboring country but do not support injustice". Neighbors did not have any neighboring country protested with a strong voice. Neighboring countries should
বাংলাদেশে বর্তমানে রোহিঙ্গারা অসহায় শরণার্থী হিসেবে অবস্থান করছে। রোহিঙ্গা সমস্যা একদিনের নয়।
রোহিঙ্গাদের ইতিহাসও শত শত বছরের। খ্রিষ্টপূর্বাব্দ ১৫০০ বছর আগে ওদের পূর্বপুরুষরা আরাকান রাজ্যে পূর্ব ভারত থেকে এসে বসতি গড়ে। ১৭০০-১৮০০ সালের দিকে আরব ব্যাবসায়ী আসেন আরাকানে। বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং বিভিন্ন জনগোষ্ঠী থেকে মানুষ বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে আরাকানে আসেন। এর মধ্যে ইন্ডিয়ান অরিজিন, বাঙালি, আরব, পার্সিয়ান আফগান, পর্তুগীজ এর বাইরেও বিভিন্ন জনগোষ্ঠী আরাকানে এসেছেন। মোঘল আমল থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক অবস্থা মোঙ্গলীয় জাতের বার্মিজদের তুলনায় ভালো ছিল। এই আলাদা আলাদা জনগোষ্ঠী আরাকানের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথে মিলে মিশে যায়। তাদের এই আগমন হাজার হাজার বছর পূর্বে।
১৮২৩ সালে ব্রিটিশ শাসক আরাকান দখল করে।
এরপর ধীরে ধীরে তারা পুরো বার্মা দখল করে। পুরো বার্মা দখল করতে তাদের ৫০ বছর এর বেশি সময় লাগে। ভারত-পাকিস্থান ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা পেলেও ব্রিটিশ সরকার বার্মাকে স্বাধীনতা দেয় ১৯৪৮ সালে। ১৯৪৬ সালের মে মাসে রাখাইন রাখাইন প্রদেশকে পাকিস্তানের সঙ্গে সংযুক্ত করতে চায় বুথিডং ও মংদৌ নামে দু'টি শহরের একত্রীকরণ এর মাধ্যমে। এর দুই মাস পর রোহিঙ্গা মুসলিম নেতৃত্ব আকিয়াবে নর্থ আরাকান মুসলিম লীগ গঠন করে। তখন রোহিঙ্গা মুসলিমরা পাকিস্তানের সঙ্গে আলাদা প্রদেশ হিসেবে বার্মা থেকে আলাদা হওয়ার চেষ্টা করে। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বার্মা ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। বৃটিশরা ওদের অদমশুমারিতে রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে বার্মার নৃ-জাতি গোষ্ঠীর তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। ১৯৫৪ সালে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের সম্পূর্ণ অধিকার দেয়। ইংরেজদের জাতি সত্ত্বার সংখ্যাতাত্ত্বিক ভুলকে পুঁজি করে বার্মার সামরিক জান্তারা ১৯৮২ সালে নতুন করে তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়। রোহিঙ্গাদের উপর নির্মম অমানবিক অত্যাচার, হত্যা, ধর্ষণ লুটপাট করে, যা আজও অব্যাহত আছে।
বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্তে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে শত শত বছর ধরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বসবাস করছে এবং গত কয়েক দশক ধরে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের ওপর চলছে নির্যাতন ও গণহত্যা। মায়ানমারের এই জনগোষ্ঠীর দায় তারা বার বার বাংলাদেশের উপর চালানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের এ স্বাধীনতার দাবি ধীরে ধীরে সশস্ত্র সংগ্রামের দিকে যায়। ব্রিটিশদের অবহেলায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এই সংকট থেকে বের হতে পারে নাই।
১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ ২ লক্ষ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয়। ২০১২ সালে শত শত রোহিঙ্গা নিহত হয় এবং এক লক্ষ ১২ হাজার ঘর ছাড়া হয়। ১৯৮২ সালে নতুন আইনে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে অস্বীকার করে সব অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। বাঙালি নাম দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত হয় মিয়ানমার সরকার। দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা ও সামাজিক বঞ্চনার শিকারে পরিণত রাষ্ট্রহীন নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে দেশি-বিদেশি অশুভ শক্তি অনেক ফাঁদ পেতেছে। ধর্মীয় গোঁড়ামিকে উপজীব্য করে তাদের হিংসার পথে নিয়ে যেতে চেষ্টা করেছে, মানব পাচারের ক্ষেত্র বানিয়েছে, মাদক পাচারের বাহক করেছে এবং বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভাঙতে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করেছে। নিঃসন্দেহে রাষ্ট্রহীন ও অধিকারবিহীন রোহিঙ্গাদের অনিয়ন্ত্রিত উপস্থিতি বাংলাদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ঝুঁকির উৎস। ইতিমধ্যে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার কয়েকবার বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। সীমান্তে স্থলমাইন পুঁতে রেখেছে। অনবরত গুলি বর্ষণ করছে। নানা উস্কানি সত্ত্বেও বাংলাদেশ চাইছে শান্তিপূর্ণ সমাধান। ইতিপূর্বে প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করে আসছে বাংলাদেশে। জাতিসংঘের বিবৃতি অনুযায়ী, নতুন করে ৪ লাখ ৯ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় গ্রহণ করেছে।
ইউএনএইসসিআর এর মতে, অনুপ্রবেশের এই ধারা অব্যাহত থাকলে এই সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মানবিক দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশ নিরাপরাধ রোহিঙ্গাদের পাশে অবস্থান নিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শরণার্থী শিবিরগুলো পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং একজন মানুষ হিসেবে অসহায় মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। মায়ের মত সবাইকে বুকে জড়িয়ে ধরেছেন।
পরোক্ষভাবে পৃথিবীর অনেক শক্তিধর রাষ্ট্র এবং সংস্থা বাংলাদেশকে সমর্থন করলেও সমর্থনে আন্তরিকতা বিবেচনা করতে হবে। তাই যুদ্ধের পথে না হেঁটে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে হাঁটতে হবে। বিশ্ববাসীকে সোচ্চার করে তুলতে হবে। যতটা সম্ভব কূটনৈতিক পথে হাঁটতে হবে। কোন ভাবেই যুদ্ধকে সমর্থন করা যাবে না। প্রতিটি প্রাণের মূল্য অনেক আর এই সমস্যা আমাদের নয়, এই সমস্যা একান্ত মিয়ানমারের। তাই বিশ্ববাসীর উচিৎ মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করে দ্রুত এই সংকট নিরসন করা। ভুলে গেলে চলবে না যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ার কথা, ইরাক এর অসহায় পরিণতির কথা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুদ্ধের উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করা হচ্ছে। কিন্তু কেন এই যুদ্ধ? অন্য দেশের সংকট নিয়ে এদেশের মানুষ কেন যুদ্ধ করবে? বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেকোনো যুদ্ধ মোকাবেলায় সক্ষম। যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো যদি প্রত্যক্ষভাবে মিয়ানমারকে সমর্থন করে তবে এদেশে অসহায় অবস্থায় পড়বে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে কথা বলার সুযোগ দিতে হবে। চোখের সামনে বাবা-মা, ভাই-বোন হারানো শিশুরা বড় হয়ে প্রতিশোধ নিতে চাইবে কিন্তু কথা বলার সুযোগের অভাবে হবে বিপথগামী। পৃথিবী নিশ্চয়ই তখন তাদের জঙ্গি বলে আখ্যায়িত করবে?
ক্ষমতার লোভে সামরিক বাহিনীর পুতুল হয়ে না থেকে অং সান সুচিরও উচিৎ হবে আন্তরিক মনোভাব নিয়ে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে কাজ করা।
অদূর ভবিষ্যতে এই সংকটের ফল মিয়ানমারকেই ভোগ করতে হবে। বাংলাদেশ সরকার বলিষ্ঠ কণ্ঠে বলেছে- “প্রতিবেশী দেশের সাথে আমরা সুসম্পর্ক রাখতে চাই কিন্তু অন্যায়কে সমর্থন করে নয়”। আশাহত করেছে প্রতিবেশী কোন দেশ বলিষ্ঠ কণ্ঠে প্রতিবাদ না করাতে। প্রতিবেশী দেশগুলোর উচিৎ হবে
Hundred years of history of Rohingas too. BC 1500 years ago their ancestors came from East India in Arakan State and settled there. Arab businessman arrived in Arakan from 1700-1800. People from different cultures and different groups came to Arakan for trade related matters. Of these, different origins of Indian origin, Bengali, Arabs, Persian Afghans, and Portuguese came to Arakan. The social, political, and economic status of the Rohingya Muslims from the Mughal period was better than the Mongols. These different people were mixed with the local population of Arakan. Their arrival came thousands of years ago.
In 1823 the British ruler occupied Arakan.
Then they gradually occupied Burma. They take more than 50 years to complete Burma. In 1948, when India and Pakistan got independence, the British government gave independence to Burma in 1948. In May 1946, Rakhine wanted to connect Rakhine province with Pakistan through the consolidation of two cities called Boothding and Maungdow. Two months later, the Rohingya Muslim leadership formed the North Arakan Muslim League in Akyab. Then Rohingya Muslims tried to separate from Burma as a separate province with Pakistan. On 4 January 1948 Burma got independence from the British. The British dropped the Rohingya Muslims from the list of Burmese ethnic groups in their ranks. In 1954, the elected prime minister gave full rights to Rohingas. By converting the numerical mistake of the English nation, the Burmese military junta took away their citizenship in 1982. Ruthless ruthless oppression, murder, rape of Rohingyas, which continues to this day.
In the Arakan state of Myanmar on the eastern border of Bangladesh, Rohingya people have been living for hundreds of years and have been tortured and genocide on them for the past several decades. They are trying to run on Bangladesh again and again, due to the Myanmar people's responsibility. But the demand for this freedom of Rohingyas gradually goes towards armed struggle. The Rohingya population could not get out of this crisis due to the British's negligence.
In 1978, Bangladesh provided shelter to 2,80,000 Rohingya people. In 2012, hundreds of Rohingya were killed and 1,12,00,000 were left without house. In 1982, due to the new law, Rohingyas were denied the rights of Myanmar citizens, and denied all rights. The Myanmar government took the pledge to push Bangladesh with the name of the Bengali government. The country and the foreign evil forces have got many snares with the non-living Rakhine Rohingya who are victims of poverty, illiteracy and social deprivation. Tried to take up the cause of religious extremism in the way of religious violence, made human trafficking grounds, carried out drug trafficking and used Rohingyas to destabilize and break communal harmony in Bangladesh. Undoubtedly, the uncontrolled presence of Rohingyas and non-Rohingya people is the source of social, economic and political risks in Bangladesh. Myanmar helicopter has violated Bangladesh airspace several times in the meantime. Landmines have been kept on the border. Continuously shedding bullets. Despite many provocations, Bangladesh wants peaceful resolution. Already around 5 lakh Rohingya resides in Bangladesh. According to the UN statement, 4.99 thousand Rohingyas have taken shelter.
According to UNESCR, if this trend of intensification continues, this number is expected to exceed 10 million. Considering the humanitarian situation, Bangladesh has taken position beside innocent Rohingyas. The Honorable Prime Minister has observed the refugee camps and made a commitment to be with the helpless people as a human being. Like everyone mother embraces.
Indirectly, many powerful states and organizations in the world support Bangladesh, but they must be considered sincerely in support. So do not walk in the path of war and walk in peaceful solutions. The world has to be vocal It is possible to walk in the diplomatic way. No way the war can be supported. Each soul has a lot of value and this problem is not ours, this problem is quite different from Myanmar. So, the world should use the pressure of Myanmar to resolve this crisis quickly. Do not forget about the war-ravaged Syria, Iraq's helpless consequences. The provocative speeches of war are being raised through social media. But why this war? Why the people of this country will fight with the crisis of other countries? Bangladesh Army is capable of fighting any war. If the powerful states directly support Myanmar in the war, it will fall helplessly in this country. The Rohingya people will have the opportunity to talk. Parents, brothers and sisters lost in front of the eyes will want to take revenge, but due to lack of opportunity to talk, there will be a straying. The world must be called their militant?
Aung San Suu Kyi should work without solving the power of the armed forces, and in the solution of the Rohingya crisis with sincere attitudes.
Myanmar will have to bear the consequences of this crisis in the near future. The Bangladesh government said in a strong voice - "We want to maintain good relations with the neighboring country but do not support injustice". Neighbors did not have any neighboring country protested with a strong voice. Neighboring countries should
বাংলাদেশে বর্তমানে রোহিঙ্গারা অসহায় শরণার্থী হিসেবে অবস্থান করছে। রোহিঙ্গা সমস্যা একদিনের নয়।
রোহিঙ্গাদের ইতিহাসও শত শত বছরের। খ্রিষ্টপূর্বাব্দ ১৫০০ বছর আগে ওদের পূর্বপুরুষরা আরাকান রাজ্যে পূর্ব ভারত থেকে এসে বসতি গড়ে। ১৭০০-১৮০০ সালের দিকে আরব ব্যাবসায়ী আসেন আরাকানে। বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং বিভিন্ন জনগোষ্ঠী থেকে মানুষ বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে আরাকানে আসেন। এর মধ্যে ইন্ডিয়ান অরিজিন, বাঙালি, আরব, পার্সিয়ান আফগান, পর্তুগীজ এর বাইরেও বিভিন্ন জনগোষ্ঠী আরাকানে এসেছেন। মোঘল আমল থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক অবস্থা মোঙ্গলীয় জাতের বার্মিজদের তুলনায় ভালো ছিল। এই আলাদা আলাদা জনগোষ্ঠী আরাকানের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথে মিলে মিশে যায়। তাদের এই আগমন হাজার হাজার বছর পূর্বে।
১৮২৩ সালে ব্রিটিশ শাসক আরাকান দখল করে।
এরপর ধীরে ধীরে তারা পুরো বার্মা দখল করে। পুরো বার্মা দখল করতে তাদের ৫০ বছর এর বেশি সময় লাগে। ভারত-পাকিস্থান ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা পেলেও ব্রিটিশ সরকার বার্মাকে স্বাধীনতা দেয় ১৯৪৮ সালে। ১৯৪৬ সালের মে মাসে রাখাইন রাখাইন প্রদেশকে পাকিস্তানের সঙ্গে সংযুক্ত করতে চায় বুথিডং ও মংদৌ নামে দু'টি শহরের একত্রীকরণ এর মাধ্যমে। এর দুই মাস পর রোহিঙ্গা মুসলিম নেতৃত্ব আকিয়াবে নর্থ আরাকান মুসলিম লীগ গঠন করে। তখন রোহিঙ্গা মুসলিমরা পাকিস্তানের সঙ্গে আলাদা প্রদেশ হিসেবে বার্মা থেকে আলাদা হওয়ার চেষ্টা করে। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বার্মা ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। বৃটিশরা ওদের অদমশুমারিতে রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে বার্মার নৃ-জাতি গোষ্ঠীর তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। ১৯৫৪ সালে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের সম্পূর্ণ অধিকার দেয়। ইংরেজদের জাতি সত্ত্বার সংখ্যাতাত্ত্বিক ভুলকে পুঁজি করে বার্মার সামরিক জান্তারা ১৯৮২ সালে নতুন করে তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়। রোহিঙ্গাদের উপর নির্মম অমানবিক অত্যাচার, হত্যা, ধর্ষণ লুটপাট করে, যা আজও অব্যাহত আছে।
বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্তে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে শত শত বছর ধরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বসবাস করছে এবং গত কয়েক দশক ধরে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের ওপর চলছে নির্যাতন ও গণহত্যা। মায়ানমারের এই জনগোষ্ঠীর দায় তারা বার বার বাংলাদেশের উপর চালানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের এ স্বাধীনতার দাবি ধীরে ধীরে সশস্ত্র সংগ্রামের দিকে যায়। ব্রিটিশদের অবহেলায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এই সংকট থেকে বের হতে পারে নাই।
১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ ২ লক্ষ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয়। ২০১২ সালে শত শত রোহিঙ্গা নিহত হয় এবং এক লক্ষ ১২ হাজার ঘর ছাড়া হয়। ১৯৮২ সালে নতুন আইনে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে অস্বীকার করে সব অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। বাঙালি নাম দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত হয় মিয়ানমার সরকার। দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা ও সামাজিক বঞ্চনার শিকারে পরিণত রাষ্ট্রহীন নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে দেশি-বিদেশি অশুভ শক্তি অনেক ফাঁদ পেতেছে। ধর্মীয় গোঁড়ামিকে উপজীব্য করে তাদের হিংসার পথে নিয়ে যেতে চেষ্টা করেছে, মানব পাচারের ক্ষেত্র বানিয়েছে, মাদক পাচারের বাহক করেছে এবং বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভাঙতে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করেছে। নিঃসন্দেহে রাষ্ট্রহীন ও অধিকারবিহীন রোহিঙ্গাদের অনিয়ন্ত্রিত উপস্থিতি বাংলাদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ঝুঁকির উৎস। ইতিমধ্যে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার কয়েকবার বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। সীমান্তে স্থলমাইন পুঁতে রেখেছে। অনবরত গুলি বর্ষণ করছে। নানা উস্কানি সত্ত্বেও বাংলাদেশ চাইছে শান্তিপূর্ণ সমাধান। ইতিপূর্বে প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করে আসছে বাংলাদেশে। জাতিসংঘের বিবৃতি অনুযায়ী, নতুন করে ৪ লাখ ৯ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় গ্রহণ করেছে।
ইউএনএইসসিআর এর মতে, অনুপ্রবেশের এই ধারা অব্যাহত থাকলে এই সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মানবিক দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশ নিরাপরাধ রোহিঙ্গাদের পাশে অবস্থান নিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শরণার্থী শিবিরগুলো পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং একজন মানুষ হিসেবে অসহায় মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। মায়ের মত সবাইকে বুকে জড়িয়ে ধরেছেন।
পরোক্ষভাবে পৃথিবীর অনেক শক্তিধর রাষ্ট্র এবং সংস্থা বাংলাদেশকে সমর্থন করলেও সমর্থনে আন্তরিকতা বিবেচনা করতে হবে। তাই যুদ্ধের পথে না হেঁটে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে হাঁটতে হবে। বিশ্ববাসীকে সোচ্চার করে তুলতে হবে। যতটা সম্ভব কূটনৈতিক পথে হাঁটতে হবে। কোন ভাবেই যুদ্ধকে সমর্থন করা যাবে না। প্রতিটি প্রাণের মূল্য অনেক আর এই সমস্যা আমাদের নয়, এই সমস্যা একান্ত মিয়ানমারের। তাই বিশ্ববাসীর উচিৎ মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করে দ্রুত এই সংকট নিরসন করা। ভুলে গেলে চলবে না যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ার কথা, ইরাক এর অসহায় পরিণতির কথা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুদ্ধের উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করা হচ্ছে। কিন্তু কেন এই যুদ্ধ? অন্য দেশের সংকট নিয়ে এদেশের মানুষ কেন যুদ্ধ করবে? বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেকোনো যুদ্ধ মোকাবেলায় সক্ষম। যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো যদি প্রত্যক্ষভাবে মিয়ানমারকে সমর্থন করে তবে এদেশে অসহায় অবস্থায় পড়বে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে কথা বলার সুযোগ দিতে হবে। চোখের সামনে বাবা-মা, ভাই-বোন হারানো শিশুরা বড় হয়ে প্রতিশোধ নিতে চাইবে কিন্তু কথা বলার সুযোগের অভাবে হবে বিপথগামী। পৃথিবী নিশ্চয়ই তখন তাদের জঙ্গি বলে আখ্যায়িত করবে?
ক্ষমতার লোভে সামরিক বাহিনীর পুতুল হয়ে না থেকে অং সান সুচিরও উচিৎ হবে আন্তরিক মনোভাব নিয়ে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে কাজ করা।
অদূর ভবিষ্যতে এই সংকটের ফল মিয়ানমারকেই ভোগ করতে হবে। বাংলাদেশ সরকার বলিষ্ঠ কণ্ঠে বলেছে- “প্রতিবেশী দেশের সাথে আমরা সুসম্পর্ক রাখতে চাই কিন্তু অন্যায়কে সমর্থন করে নয়”। আশাহত করেছে প্রতিবেশী কোন দেশ বলিষ্ঠ কণ্ঠে প্রতিবাদ না করাতে। প্রতিবেশী দেশগুলোর উচিৎ হবে
No comments:
Post a Comment